শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১০:৪৯ অপরাহ্ন

উপসহকারী প্রকৌশলীকে নিয়ে রেলে তোলপাড়

উপসহকারী প্রকৌশলীকে নিয়ে রেলে তোলপাড়

স্বদেশ ডেস্ক:

বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে বিভাগীয় অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. শাহ আলম। গোপালগঞ্জে গোপনে কথিত স্ত্রীর মরদেহ দাফন করতে গিয়ে গত সোমবার পুলিশের হাতে আটক হন। একই সঙ্গে আটক হয়েছেন লিওন সাহা নামে এক যুবক। এ ঘটনায় পুরো রেল অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সহজ-সরল মানুষ হিসেবে পরিচিত শাহ আলমের এমন কাণ্ডে বিস্মিত তার সহকর্মীরা। এমন ঘটনা বিশ্বাস করতে পারছেন না।

জানা গেছে, লিওন সাহার মাধ্যমে উম্মে সাইয়েদা (২৩) নামে ওই নারীকে গত ১৩ জানুয়ারি বিয়ে করেন শাহ আলম। গত শনিবার হঠাৎ করে তার মৃত্যু হয়। সোমবার ভোরে দাফন করতে গাজীপুর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে গোপালগঞ্জ পৌর কবরস্থানে নেওয়া হয়। কবর খুঁড়ে রাখা হয় আগের রাতেই। দাফনের আগে নিহত নারীর জাতীয় পরিচয়পত্র চাইলে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই দু’জনকে থানায় নিয়ে যায়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পাঠানো হয় গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল মঙ্গলবার শাহ আলম ও লিওন সাহাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোপালগঞ্জ থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম।

পুলিশ জানিয়েছে, শাহ আলমের বাড়ি কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার শাহদৌলতপুর গ্রামে। চাকরি সূত্রে তিনি পরিবার নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ এলাকায় বসবাস করেন। লিওন সাহার বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতি গ্রামে। নিহত নারী বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা গ্রামের।

উম্মে সাইয়েদার বাবার বরাত দিয়ে ওসি মনিরুল ইসলাম আমাদের সময়কে জানান, ২০১৭ সালে স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল। ২০১৯ সালে লিওনের সঙ্গে পালিয়ে গেলে একই বছরের ৩০ জুলাই স্থানীয় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এর পর থেকে বাবার সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি। ঢাকায় অনন্যা সাহা পরিচয় দিয়ে লিওনের বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। মৃত্যুর ঘটনা জানাজানি হলে মেয়ের লাশ নিতে থানায় আসেন।

বিভাগীয় সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, লিওন সাহা ওই দপ্তরে ঠিকাদারি কাজের দালালি করতেন। সেই সূত্রে শাহ আলমের সঙ্গে পরিচয়। শাহ আলমকে লিওন জানিয়েছিল উম্মে সাইয়েদা তাকে ধর্মের ভাই ডেকেছে। তার পরিচয়ের সূত্র ধরে উম্মে সাইয়েদা একাধিকবার শাহ আলমের অফিসে এসেছিল। তবে ওই দপ্তরের কর্মকর্তারা লিওনকে চিনেন না বলে দাবি করেছেন।

বিভাগীয় সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক আরিফ শিকদার আমাদের সময়কে বলেন, অফিসের কাজে কোনো গাফিলতি নাই। সহজ-সরল ভদ্র মানুষ। নিয়মিত নাজাম-কালাম পড়তেন। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকলে অবশ্যই তাকে শাস্তি পেতে হবে। নিয়ম অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেব।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877